কোমর ব্যথার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কোমর ব্যথার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

কোমর ব্যথার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা । একটানা বসে কাজ করেন যারা তারা খুব সহজেই পিঠব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

শুধু তাই নয় যদি হাড়ের দুর্বলতা জনিত কোনো সমস্যা থাকে তবে সেকারণেও অনেকেই পিঠে ব্যথার যন্ত্রণায়

পড়ে থাকেন। বেশীরভাগ মানুষই এই পিঠ ব্যথাকে গুরুত্ব দেন না। ভাবেন এটি তেমন কিছুই না। অল্প সময়ের ব্যথা ভেবে ভুল কাজ করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানেন কি? এই ব্যথা ধীরে ধীরে মারাত্মক আকার ধারন করতে পারে। এবং সঠিক পদক্ষেপ না নিলে মেরুরস শুকিয়ে যাওয়ার মত ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন আপনি। তাই পিঠ ব্যথাকে অবহেলা নয়।

কোমর ব্যথার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার সমাধান

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন এর মাধ্যমে অাপনি এই ধরনের সমস্যা  থেকে  রেহাই পেতে পারেন।

তাই বড় ধরনের জটিলতার অাগে ভাল একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক  এর পরামর্শ  নিন। 

চাইলে অল্টারনেটিভ চিকিৎসা হিসেবে অাকুপ্রেশার বা অাকুপাংচার থেরাপি নিতে পারেন 

কোমর ব্যথার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

রাস টক্স :

রাস টক্স প্রাথমিক কোমর ব্যথার চমৎকার ঔষধ 

ভারি কাজ বা একটানা বেশীক্ষণ বসে থাকার কারনে কোমর ব্যথা।  রাসটক্সের রোগী বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না কিছুক্ষণ পরেই উঠে দাঁড়িয়ে যায় এবং হাঁটাচলা শুরু করে তাতেই কোমর ব্যথার আরাম হয়। 

ব্রায়োনিয়া –

তরুন ও পুরাতন কোমর ব্যথায় ব্রায়োনিয়া ব্যবহৃত হয়।কোমরে সূচ ফোঁটানোর মত ব্যথা, রোগী কোনভাবেই নড়াচড়া করতে চায়না চুপচাপ শুয়ে থাকতে চায়,  একটু নড়াচড়া বা হাঁটাচলা করলেই তার কোমর ব্যথা বেড়ে যায়। 

রুটা –

তরুন  কোমর ব্যথার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হলো রুটা,  রুটার রোগীরা হাঁটাচলা বা উঠাবসায় হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার মতো এক শব্দ হয় এবং কোমর ব্যথা ডান পার্শ্বে চাপিয়া শুইলে এবং সোজা হয়ে শুইলে আরামবোধ করে। 

আর্নিকা –

পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে বা যেকোন উপায়ে আঘাত পেয়ে কোমরব্যথা হলে আর্নিকা কার্যকরী। আর্নিকার রোগীরা শক্ত বিছানায় শুতে 

পারে না, তাই সবসময় নরম বিছানা চায়।

লিডাম পল –

বাত ব্যথা কোমর থেকে উপরের দিকে ধাবিত হয়।  বসে থাকলে বা বসা থেকে উঠতে গেলে বৃদ্ধি।  ঠান্ডা পানি বা কোমরে বরফ লাগালে আরাম।

কেলকেরিয়া ফ্লোর –

কোমরের হাড় ক্ষয় হেতু কোমর ব্যথা হলে কেলকেরিয়া ফ্লোর কার্যকরী সাথে কোমরে শক্তবোধ হয়।

হাইপেরিকাম

আঘাত লাগার ফলে সৃস্ট দীর্ঘদিনের পুরাতন কোমর ব্যথা হলে হাইপেরিকাম কার্যকরী।

কেলি কার্ব –

পুরাতন কোমর ব্যথার চমৎকার ঔষধ কেলি কার্ব,  কোমরে অসহ্য  শুচ ফোঁটানো ব্যথা এবং ব্যথা রাতের বেলায় বেশি হয় বিশেষ করে রাত্রি ২-৩টার দিকে। 

কষ্টিকাম

যে সকল মহিলারা অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম করে তাদের জন্য কষ্টিকাম অমৃতের মত। এরা এত বেশী আবেগপ্রবণ যে পরিবারের কাউকে কোন কাজ করতে দেয় না,  সব কাজ একাই করতে চায়।  

কষ্টিকামে  কোমর ব্যথার সাথে অবসভাব,  লাম্বার প্রদেশের হাড়ের হার্নিয়েশন দুর করতে সাহায্য করে। 

সাধারণ কোমর ব্যথায় প্রতিদিন সকালে খালিপেটে ৪ বড়ি করে ৭দিন সেবন করবেন ইনশাআল্লাহ আপনার কোমর ব্যথা চলে যাবে। 

দীর্ঘদিনের পুরাতন কোমর ব্যথায় অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করা উচিত।

2