অর্শের বা পাইলসের কারন

অর্শের বা পাইলসের কারন

অর্শের বা পাইলসের কারন হল

অর্শের বা পাইলসের কারন দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।

শরীরের অতিরিক্ত ওজন।

মহিলাদের গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ওপর চাপ পড়লে।

লিভার সিরোসিস।

মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া.

শাকসব্জী ও অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবার এবং পানি কম খাওয়া।।

পরিবারে কারও পাইলস থাকা মানে বংশগত

ভার উত্তোলন, দীর্ঘ সময় বসে থাকা ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে।

তাছাড়া যাদের প্রায় চিকেন ফ্রাই, ড্রাই, ফাস্টফুড, সব ধরনের কাবাব যেমন- বাটি কাবাব, টিক্কা কাবাব, গ্রিল কাবাব, বিবিধ খাবারের অভ্যাস আছে।

লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ সংক্ষিপ্ত আকারে আলোচনা করা হলো

Millefolium ঔষধটিদশ/বিশ মিনিট পরপর খেতে থাকুন যতক্ষণ না রক্তপাত বন্ধ হয়।অন্যদিকে কালো  অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে শরীর দুরবল হয়ে পড়লে, রক্তশূণ্যতা দেখা দিলে China officina ঔষধটি খান। পাশাপাশি ভিটামিন জাতীয় অন্যান্য ঔষধগুলিও খেতে পারেন।

Aesculus Hippocastanum :

এসকিউলাসকে বলা যায় সবচেয়ে সেরা পাইলসের ঔষধ। এই ঔষধের কাজের মূল কেন্দ্র হইল তলপেটের যন্ত্রপাতি।

ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোষ্টকাঠিন্য (পায়খানার সাইজ বড় বড় এবং শক্ত), রক্তক্ষরণযুক্ত অথবা রক্তক্ষরণবিহীন পাইলস, পায়খানার রাস্তায় কেহ আলপিন দিয়ে খোচা মারছে এমন ব্যথা, পায়খানার রাস্তা শুকনা শুকনা লাগা, তলপেটে দুরবলতা, পায়ে অবশ অবশ ভাব, হাটঁলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায়, রোগী খুবই বদমেজাজি ইত্যাদি।

ঔষধ নিম্নশক্তিতে খেলে রোজ দুই/তিন বার করে খাবেন আর উচ্চ শক্তিতে খেলে দশ/পনের/বিশ দিন পরপর এক মাত্রা করে।

১- Collinsonia canadensis :

ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ পেট এবং পায়খানার রাস্তার অসুখের সাথে মাথাব্যথা, নাভী এবং তলপেটে ব্যথা, কোষ্টকাঠিন্য, কোথানি, অবসন্নতা, আম ও রক্তযুক্ত পায়খানা, মাসিকের সময় পাইলস, পায়খানার রাস্তার মাংস বেরিয়ে পড়া (Prolapse of the rectum),

রোগের লক্ষণ শরীরের ওপর থেকে নীচের দিকে যায়, হার্টের সমস্যা এবং পাইলসের রক্তক্ষরণ ঘুরেফিরে আসে, বিভিন্ন জয়েন্টের বাতের ব্যথা, বুকে ব্যথা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Graphites:

কোষ্ঠকাঠিন্য, চাকা চাকা মল (ডিমের সাদা অংশের মতো), পেট ফাঁপা, পায়ুপথের একজিমা, চুলকানি প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করে। বলি বড়, চেপে বসলে যন্ত্রণা, ছুঁলে ব্যথা হয়।

Hamamelis:

অর্শ রোগের কারণে পায়ু পথ ফুলে যাওয়া এবং সেই সাথে রক্তপাত হলে উপকারী।

Kali carb: পিঠে ব্যাথা, পেট ফাঁপা, শক্ত মল, পায়ুপথের জ্বালাপোড়া (অর্শ হলে) এইসব অসুস্থতায় কাজ করে।

Lycopodium:

পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য সাথে পেট পরিষ্কার না হওয়া।

অর্শ রোগের কারণে রক্তক্ষরণ, সাথে পায়ুপথের স্থানচ্যুতি ও মাংসপেশীর মোচড়ানো ব্যথা অনুভূত হওয়া।

সাধারণত কোনো কারণ ছাড়াই মানসিক উৎকণ্ঠা ও বদহজম। পেটের রক্তাধিক্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে কাজ করে।

paeonia;

ভেজা অর্শ, ব্যথাযুক্ত পায়ুপথের ফাটল রোগ। চুলকানি এবং ব্যথাযুক্ত অর্শ সাথে রক্তপাতের প্রবনতা।

মলত্যাগের পর ক্রমাগত খোঁচানো ব্যথা এইসব রোগ লক্ষণের চিকিৎসায় কাজ করে।

Sulphur: পায়ুপথ লাল হওয়া, চুলকানি, একজিমা, অস্বাস্থ্যকর ত্বক এসব ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যকরী একটি ঔষধ।

Aloe socotrina :

এলু সকোট্রিনার প্রধান প্রধান লক্ষণ কোষ্টকাঠিন্য, পেট, তলপেট এবং মাথায় রক্তসঞ্চয়, অদল-বদল করে মাথাব্যথা এবং কোমরের বাত, শীতকালে পাইলসের উৎপাত বৃদ্ধি পায়, দুরবলতা, খাওয়ার পরপরই পায়খানার বেগ হওয়া,

শক্ত পায়খানা (ঘুমের মধ্যে) নিজের অজান্তেই বিছানায় পড়ে থাকে, পাইলেসের চেহারা দেখতে আঙুরের থোকার মতো,

সারাক্ষণ নীচের দিকে ঠেলামারা ব্যথা, রক্তক্ষরণ, টনটনে ব্যথা, স্পর্শ করা যায় না, গরম, ঠান্ডা পানিতে আরাম লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Peoniaofficinalis :

পিওনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া, চুলকানি, ফোলে যাওয়া, (বিছানা-জুতার) চাপ থেকে ঘা হওয়া, পায়খানার রাস্তার ফোড়া, ফেটে যাওয়া(fissure), ভগন্দর  রক্তনালী ফোলে যাওয়া  ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা, নড়াচড়া-হাঁটা-স্পর্শে রোগের কষ্ট বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

Nitricum acidum :

নাইট্রিক এসিডের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোষ্টকাঠিন্য, (শক্ত হউক বা নরম) পায়খানার পরে ব্যথা, মেজ (wart), প্রস্রাবের গন্ধ গরুর প্রস্রাবের মতো (খুবই কড়া), আবহাওয়া পরিবর্তন হলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, শরীরের ছিদ্রযুক্ত স্থানের ক্ষত,খিটখিটে মেজাজ, ঘনঘন ডায়েরিয়ায় ভোগে, চোখের নালী ক্ষত, রাতের বেলা হাড়ের ব্যথা, হাড়ের ক্ষত, যে-কোন ঘা/ক্ষত সহজে সারতে চায় না, শরীরে পানির পরিমাণ বেশী ইত্যাদি ইত্যাদি।

Muriaticum acidum :

মিউরিয়েটিক এসিডের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কান্ডজ্ঞান লোপকারী মাথাব্যথা, চোখে অন্ধকার এবং উল্টাপাল্টা দেখা, অনিচ্ছাকৃতভাবে পায়খানা-প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়া, প্যারালাইসিস, পাইলসে বা পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া, মাঝারি বা মারাত্মক ধরনের ইনফেকশান, পূজঁ-নিঃশ্বাস-শরীরের গন্ধ সবই দূর্গন্ধযুক্ত, পাইলস দেখতে আঙুরের থোকার মতো, পিঙল বর্ণের, স্পর্শ করলে জ্বালা করে, কোথানি দিলে আলিশ বেরিয়ে যায়, জিহ্বায় ইনফেকশান, কানপচাঁ ইত্যাদি ইত্যাদি।

**বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের  ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না**

2